শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে পালাক্রমে মা- মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ৭ জনের বিরুদ্ধে। গতকাল ৯ অক্টোবর শনিবার রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রোববার সকালে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করার পর অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে গরু ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে শেরপুর সদর উপজেলার বারঘরিয়া গ্রামের এক গৃহবধূ তার কিশোরী মেয়েকে সাথে নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তারা অটোরিকশায় করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন।

কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশী ভাই, মা-মেয়েকে সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করার পর রাতে পুনরায় পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে কৌশলে ঢাকায় বসবাসকারী পলাশীকুড়া গ্রামের উসমানের নির্মাণাধীন জনশূন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর স্থানীয় ৭ ব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

রোববার সকালে ধর্ষণের শিকার মা-মেয়ে পলাশিকুড়াস্থ বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনরা ৯৯৯ এ কল করেন। এতে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী ও ধর্ষণে অভিযুক্ত গরু ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার এবং অভিযুক্ত সাদেক আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, রোববার সকালে ৯৯৯ থেকে ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত দুইজনকে আটক করি। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। থানায় মামলা করার পর ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন